নামকরণঃ
উঁচু স্থান থেকে পানি পতনের ধ্বনিকে স্থানীয় অধিবাসীদের ভাষায় হামহাম বলা হয় ফলে কুরমা বনবিটের গহীন অরন্যে অবস্থিত জলপ্রপাতটি হামহাম নামে পরিচিতি লাভ করে। অন্যমতে জলপ্রপাতটির নাম হাম্মাম অর্থাৎ সণানাগার (এলাকার বয়োবৃদ্ধ লোকদের মুখে প্রচলিত মিথ অনুযায়ী একসময় এখানে পরীরা সণান করত বিধায় একে হাম্মাম বলা হয়ে থাকে)।
অবস্থানঃ
কমলগঞ্জ উপজেলাধীন ইসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বনবিভাগের রাজকান্দি রেঞ্জের কুরমা বন বিটের অভ্যন্তরে ভারতীয় সীমামেত্মর কাছাকাছি জলপ্রপাতটি অবস্থিত।
যোগাযোগঃ
কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে সীমান্তবর্তী ইসলামপুর ইউনিয়নে অবস্থিত কুরমা সীমামত্ম ফাঁড়ি পর্যন্ত ২৫ কি:মি: পাকা রাসত্মা। বাস সার্ভিস চালু আছে। তাছাড়া যে কোন গাড়ীতে যাতায়াত করা যায়। সেখান থেকে আনুমানিক ৪ কি:মি: কাঁচা রাস্তা ধরে ন্যাশনাল টি কোম্পানীর চাম্পারায় চা বাগান যে কোন গাড়ীতে যাওয়া সম্ভব। বাগানের মূল অংশ থেকে আনুমানিক ৫ কি:মি: দূরে বাগানের শেষ প্রান্তে কলাবন বস্তি নামে পরিচিত শ্রমিক বস্তিতে যেতে হবে। বর্ষা মৌসুমে পায়ে হেঁটে এবং শুষ্ক মৌসুমে মোটর সাইকেলে যাতায়াত করা যায়। উক্ত কলাবন বস্তি থেকে পায়ে হেটে আনুমানিক ৮-১০ কি:মি: উঁচু টিলা ও পাহাড়ী ছড়া পেড়িয়ে হামহাম জলপ্রপাতে পৌছঁতে হয়।
হামহামের সৌন্দর্য্যতাঃ
গহীন অরণ্যে জলপ্রপাতটির মোহনীয় রূপ সহজেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। জলপ্রপাতটির রূপ দেখে যাত্রাপথের কষ্ট ও কান্তি দূর হয়ে যায়। প্রায় ১৬০ ফুট উঁচু থেকে গড়িয়ে পড়া পানির শব্দ অনেক দূর থেকে শোনা যায়। উঁচু থেকে পানি বিশাল পাথরের গায়ে হুমড়ি খেয়ে নীচে পড়ে পানি কণা বাতাসে উড়ে ১০০ গজ এলাকার মধ্যে কুয়াশার আবরণ সৃষ্টি করে। যা সত্যই মনোমুগ্ধকর ও অভূতপূর্ব।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS