Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান এর স্মৃতিসৌধ
স্থান

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়ন

কিভাবে যাওয়া যায়

ঢাকা থেকে এ উপজেলায় যাতায়াতের জন্য সড়ক ও রেল পথ দিয়ে সহজে যাতায়াত করা য়ায় । সড়ক পথ হিসেবে ঢাকা থেকে সরাসরি উল্লেখ্যযোগ্য বাস সার্ভিস পার্শ্ববর্তী শ্রীমংগল উপজেলায় চালু আছে। শ্রীমংগল থেকে লোকাল সার্বিসে (বাস/সিএনজি) ১৬ কি:মি: পথ অতিক্রম করে পূর্বদিকে কমলগঞ্জ সদরে আসা যায় । অপরদিকে ঢাকা থেকে রেল পথে ভানুগাছ এবং শমসেরনগর রেলোয়ে ষ্ষ্টেশনে অবস্থান করতে হয় । উক্ত স্থান হতে স্থানীয় ভাবে সিএনজি/বাস যোগে দর্শনীয় স্থান সমুহে যাতায়াত করা যায় ।

যোগাযোগ

0

বিস্তারিত

বীরশ্রেষ্ট সিপাহী হামিদুর রহমান ১৯৫৩ ইংরেজী সনের ২ ফেব্রুয়ারী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খোরদা খালিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জনাব আক্কাস আলী একজন দরিদ্র কৃষক এবং মা গৃহিনী কায়সুন্নেছা। বীর শ্রেষ্ট সিপাহী হামিদুর রহমান১৯৭১ সনে আনসার বাহিনীতে অল্প সময়ের জন্য চাকুরী করেন এবং ২ ফেব্রুয়ারী ১৯৭১ খ্রি: তৎকালীন সেনাবাহিনীতে সৈনিক হিসেবে ঐতিহ্যবাহী ১ ইষ্ট বেংগল রেজিমেন্টে যোগদান করেন। সাহসী এ সৈনিক মাতৃভূমির স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং বিভিন্ন অপারেশনে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। ১৯৭১ সনের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে মৌলভীবাজার জেলাস্থ কমলগঞ্জ উপজেলার চা বাগান বিস্তৃত ধলই সীমান্ত চৌকিতে হানাদার পাকিস্তানী সেনাবাহিনী বাহিনীকে পরাস্থ করার উদ্দেশ্যে সহযোদ্ধাসহ তিনি সশস্ত্র আক্রমন চালান। ধলই সীমান্তে শত্রু সেনা চৌকির সন্মুখ যুদ্ধে অমিত সাহসে চৌকির ৫০ গজের মধ্যে পৌছেঁ যান এবং বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে উক্ত সীমান্ত চৌকি ও সংলগ্ন এলাকা মুক্ত করেন এবং সেখানেই শত্রু সেনার বুলেট বিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে এই বীর সেনানীর অবদানের স্বীকৃতি সরূপ বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করা হয়। বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমানকে প্রতিবেশী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কমলপুর জেলাধীন আমবাসা গ্রামে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।  সম্প্রতি তাঁর দেহাবশেষ দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে যথাযোগ্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে।